Description
তিনি পুরোনো ধাঁচের পুঁথিগত শিক্ষাপদ্ধতিকে মানতে নারাজ। তিনি বলেন,“শুধু বই পড়ে প্রকৃত শিক্ষা অর্জন করা যায় না। পুঁথিগত শিক্ষাপদ্ধতিতে বাচ্চারা প্রকৃতির সংবেদনশীল উপলব্ধি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সৃষ্টিকর্তার স্বজ্ঞাত গ্রহণযোগ্যতা ওদেরকে স্পর্শ করতে পারছে না। অথচ,এ সবই হয়ে ওঠতে পারে ওদের অনুপ্রেরণার বাতিঘর। জাপানি কবি বাশো’র লেখা একটা কবিতায় আছে: ‘শোনো! একটি ব্যাঙ ঝাঁপ দিচ্ছে- একটি প্রাচীন দীঘির নীরবতায়!’ প্রতিদিন হয়তো কত লোকই পুকুরে ব্যাঙ ঝাঁপ দিতে দেখে। কত লোকই হয়তো গরম বাষ্পের চাপে চায়ের কেটলির ঢাকনাটা ওঠানামা করতে দেখে। কত লোকেই হয়তো গাছ থেকে সাবলীলভাবে আপেল পড়ার দৃশ্য দেখে। কিন্তু সবাই কি আর বাশো বা জেমস ওয়াট বা নিউটন হতে পারে? আপনার চোখ আছে,কিন্তু জগতের সৌন্দর্য আপনি উপভোগ করতে পারেন না। আপনার কান আছে,কিন্তু চারপাশের সুর আপনাকে আলোড়িত করে না। আপনার বিবেক আছে,কিন্তু সত্যটা আপনি অনুধাবন করতে পারেন না। আপনার একটা হৃদয় আছে,কিন্তু সেই হৃদয়ে কখনো ভালোবাসা জেগে ওঠে না। তাহলে এবার আপনি একটু ভাবুন তো- আপনি কতটা দুর্ভাগা! কতটা অসহায়!” প্রধান শিক্ষক সাহেব আরো বলেন,“মানুষের এসব বিষয় ভেবে আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। তাই আমার স্কুলে আমি ইউরিথমিক্সের ক্লাশ চালু করেছি। আমি বাচ্চাদের মনের দরজাটা খুলে দিতে চাই। ওরা মনের দরজা দিয়ে বের হয়ে দেখবে,বিচার করবে,তারপর গ্রহণ করবে।”
tottochan, tenshuko kuruyanagi, asia publication
Reviews
There are no reviews yet.